- Back to Home »
- একটু বড় গল্প »
- আবার যদি ইচ্ছে কর / পাঁচ
Posted by : Sayantari Ghosh
Wednesday, May 04, 2016
পাঁচ
“উইশ পয়েন্ট…!!!”
হাতদুটো হাওয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে, চোখ বন্ধ করে, একটা লম্বাআআ শ্বাস নিয়ে ঘোষণা করলো পারো।
হাতদুটো হাওয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে, চোখ বন্ধ করে, একটা লম্বাআআ শ্বাস নিয়ে ঘোষণা করলো পারো।
কোমর-অব্দি উঁচু শুকনো ঘাসের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেইই পাথরটায় এসে পড়েছি ততক্ষণে… সেই যে এক পূর্ণিমায় হেম আমাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছিল এই এক্কেবারে নিজেদের স্বপ্নরাজ্যের, তারপর থেকে এখানটা হয়েগেছিল আমাদের আলো-আঁধারের নিশ্চিন্ত আশ্রয়। রাস্তা’টা যে একেবারে আমাদের নিজেদের আবিষ্কার, সেটা বুঝেছিলাম সেইরাতের কিছুদিন বাদেই; আমরা ছাড়া এ পথের ঘাস আর কেউ মাড়াতো না। এই পাথরের ওপরে বসে দেখা প্রতিটা সূর্যাস্ত, বলা প্রতিটা কথা, প্রতিটি হাসির ঝর্ণা, প্রতিটি চোখের জলের ফোঁটা, রাগ-ঝগড়া-খুনসুটির জিগস পাজলের প্রতিটি ব্লক ছিল শুধু আমাদের। চোখের সামনে শুধু গালে হাত দিয়ে বসে দূঊঊর থেকে সব শুনতো লোহিত হস্টেল আর কোল ছুঁয়ে বিছিয়ে রাখত তার সবুজে সবুজ আঁচল। সন্ধ্যে হতে হতে রাত হয়ে যেত এখানে এলেই; লোহিতে আলো জ্বলত ধীরে ধীরে, আমরা ফিরতি পথ ধরতাম তখন।
আজো সুর্য ঢলে পড়েছে প্রায় আলিস্যি’তে। সকাল থেকেই তো তার চোখ ঢুলুঢুলু। এখানে আসার মানেই আগে ছিল নিখাদ আড্ডার ইচ্ছে বা সবার থেকে সরে এসে চিত্কার করে কিছু বলবার প্রয়োজন… আজো তেমনি ভেবেছিলাম সকালে। কিন্তু এখানে পৌঁছে খেয়াল করলাম, একা পারো ছাড়া কেউ যেন কথা বলছে না কিছু। পাথরটার উপরে উঠে বসলাম তিনজনে, মেঘে মেঘ পশ্চিম আকাশে, হাজারো রঙ মাখামাখি লোহিতের গায়ে… পড়ন্ত আলো আমাদের মুখে পড়ছিল, পারো বলছিল, “মনে আছে, ফেয়ারওয়েলের আগের দিন এখানে এসেছিলাম? আর আই টোল্ড ইউ টু উইশ সামথিং…? মনে আছে?”
আজো সুর্য ঢলে পড়েছে প্রায় আলিস্যি’তে। সকাল থেকেই তো তার চোখ ঢুলুঢুলু। এখানে আসার মানেই আগে ছিল নিখাদ আড্ডার ইচ্ছে বা সবার থেকে সরে এসে চিত্কার করে কিছু বলবার প্রয়োজন… আজো তেমনি ভেবেছিলাম সকালে। কিন্তু এখানে পৌঁছে খেয়াল করলাম, একা পারো ছাড়া কেউ যেন কথা বলছে না কিছু। পাথরটার উপরে উঠে বসলাম তিনজনে, মেঘে মেঘ পশ্চিম আকাশে, হাজারো রঙ মাখামাখি লোহিতের গায়ে… পড়ন্ত আলো আমাদের মুখে পড়ছিল, পারো বলছিল, “মনে আছে, ফেয়ারওয়েলের আগের দিন এখানে এসেছিলাম? আর আই টোল্ড ইউ টু উইশ সামথিং…? মনে আছে?”
ও বলতে মনে পড়লো বটে। সেদিনই ও এখানটাকে উইশ পয়েন্ট নাম দিয়েছিল; পাথরের উপরটায় দাঁড়িয়ে চিত্কার করেছিল, “আ-ই............ ল-ভ.......... আ-লো-ও-ক................!!!”
আমি আর হেম পারতপক্ষে খালি হাসাহাসি করেছিলাম ওর পাগলামিতে… তারমাঝে তেমন কোন ইচ্ছেবর চেয়েছিলাম বলে মনে পড়লো না।
আমি আর হেম পারতপক্ষে খালি হাসাহাসি করেছিলাম ওর পাগলামিতে… তারমাঝে তেমন কোন ইচ্ছেবর চেয়েছিলাম বলে মনে পড়লো না।
হঠাত্ হেম মাথা রাখল আমার কাঁধে...
ভাবছিলাম ঝগড়া করবে, রাগ করবে, এমন পাগলামি করবে ভাবিনি একেবারে। তাহলে কি আর কিছু ভেবে চুপ ছিল এতক্ষণ? তাহলে কি হেম বোঝেনি সেভাবে?
ভাবছিলাম ঝগড়া করবে, রাগ করবে, এমন পাগলামি করবে ভাবিনি একেবারে। তাহলে কি আর কিছু ভেবে চুপ ছিল এতক্ষণ? তাহলে কি হেম বোঝেনি সেভাবে?
“রিনি”, খুব ধীরে ধীরে বলল হেম, “পারো…”
“হুম্ম্…?”, পারো বলল…
“আই নীড টু সে সামথিং... আবাউট দ্যাট অঙ্কুর ইন্সিডেন্ট…”
“হুম্ম্…?”, পারো বলল…
“আই নীড টু সে সামথিং... আবাউট দ্যাট অঙ্কুর ইন্সিডেন্ট…”
নিশ্চিন্তি…! একটা চূড়ান্ত নিশ্চিন্তিতে যেন জুড়িয়ে এল ভিতরটা… হেম বোঝেনি!
হাত বাড়িয়ে ওর মাথায় হাত’টা রাখলাম, বললাম, “কি রে?”
হাত বাড়িয়ে ওর মাথায় হাত’টা রাখলাম, বললাম, “কি রে?”
“রিনি, আমি… আমি অঙ্কুরকে যেটা বলেছিলাম… দ্যাট আই লাভ সামওয়ান এলস… দ্যাট থিং… দ্যাট ওয়াজ নট রং…”
“কি?!” অবাক হয়ে তাকালাম ওর দিকে। এরকম কিছু তো ছন্দে অংশেও ভাবিনি আমি, “কি বলছিস সোনা?সো দ্যাট ওয়াস ট্রু...?! হু ইস দ্যাট গাই…?”
আস্তে আস্তে কাঁধ থেকে মাথা’টা তুলে সোজা সামনে তাকাল হেম। সূর্য’টা পুরোপুরি মেঘের আড়ালে এখন; গাঢ় করে একটা নিশ্বাস নিল হেম, “জানিস, যখন সেদিন অঙ্কুরের সাথে দ্যাখা করতে গেছিলাম, ওর সব কথায়, সব প্রশ্নে, সব উত্তরে আমি যেন কিছু একটা খুঁজছিলাম… কি যে ছিল সেটা, তখন বুঝিনি… পরে মনে হল, তার উত্তর ছিল ইউনিভার্সিটির দিনগুলো’তে, সেই নিখাদ খুনসুটিগুলোতে, পার্টির মিটিংগুলোতে, একই দাবী নিয়ে গলা ফাটানো’তে… র্যালি বা স্ট্রাইকের সময়, যখন নিশুতি রাত হয়ে যেত, কিম্বা পুলিশ আসত ধর্ণা তুলে দিতে, কিম্বা কেউ এসে সাস্পেনশন লেটার ছুঁড়ে দিত মুখের ওপর... ভয় লাগত, কাউকে বলতে-না-পারা ভয়... তোরা দু’জন থাকতি না তো সেই মূহুর্তে... তখন জানিস না কি সাঙ্ঘাতিক ভাবে ওকে ফিল করতাম... মনে হত কিরকম যেন আলগোছে আগলে রাখতো ও আমায়… …”
“কি?!” অবাক হয়ে তাকালাম ওর দিকে। এরকম কিছু তো ছন্দে অংশেও ভাবিনি আমি, “কি বলছিস সোনা?সো দ্যাট ওয়াস ট্রু...?! হু ইস দ্যাট গাই…?”
আস্তে আস্তে কাঁধ থেকে মাথা’টা তুলে সোজা সামনে তাকাল হেম। সূর্য’টা পুরোপুরি মেঘের আড়ালে এখন; গাঢ় করে একটা নিশ্বাস নিল হেম, “জানিস, যখন সেদিন অঙ্কুরের সাথে দ্যাখা করতে গেছিলাম, ওর সব কথায়, সব প্রশ্নে, সব উত্তরে আমি যেন কিছু একটা খুঁজছিলাম… কি যে ছিল সেটা, তখন বুঝিনি… পরে মনে হল, তার উত্তর ছিল ইউনিভার্সিটির দিনগুলো’তে, সেই নিখাদ খুনসুটিগুলোতে, পার্টির মিটিংগুলোতে, একই দাবী নিয়ে গলা ফাটানো’তে… র্যালি বা স্ট্রাইকের সময়, যখন নিশুতি রাত হয়ে যেত, কিম্বা পুলিশ আসত ধর্ণা তুলে দিতে, কিম্বা কেউ এসে সাস্পেনশন লেটার ছুঁড়ে দিত মুখের ওপর... ভয় লাগত, কাউকে বলতে-না-পারা ভয়... তোরা দু’জন থাকতি না তো সেই মূহুর্তে... তখন জানিস না কি সাঙ্ঘাতিক ভাবে ওকে ফিল করতাম... মনে হত কিরকম যেন আলগোছে আগলে রাখতো ও আমায়… …”
চোখের সামনে’টা এক্কেবারে ঝাপসা হয়ে গেল সাথে সাথে; বৃষ্টিধোয়া ফেডেড সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা বি-শা-ল হোর্ডিঙের মত দুলতে লাগল সাবরমতির সেই শিরশিরে রাতের ছবিটা আবার... ছবির পিছনে একটা আলো যেন খ্যাপার মত জ্বলছে আর নিভছে... ফ্ল্যাশ... ব্লার... ফ্ল্যাশ, ফ্ল্যাশ... ব্লার...
“আমি কাউকে বলতে পারিনি, রিনি…”, গরম এক ফোঁটা নোনতা জল হেমের গাল বেয়ে এসে পড়ল আমার হাতে, “আমার বুঝতে খুব দেরি হয়ে গেছিল রে… অঙ্কুরের কথা ভাবতে গিয়ে কি মনে হল জানিস? যে রুদ্র আমায় পেরিয়ে কবে চলে গেছে, কিন্তু আমি এখনও ওর পিছনে পড়ে থাকা ছায়া’টার ভেতরে খুব আরামে বসে আছি এখনও… সে ছায়াটুকু যদ্দিন না পেরিয়ে যাচ্ছে, যদ্দিন না কড়া রোদ এসে পড়ছে আমার গায়ে, আমার মনেই হবে না যে আমার আর কাউকে দরকার… সবকিছু এমন নিটোল ভাবে সামলে নিতো ও… …”
আবার অন্ধকার ঘর; আবার দেওয়ালজোড়া স্ন্যাপশট… চলন্ত ট্রেনে, কাঁপা কাঁপা হাতের লেখায় লেখা একখানা ডায়েরির পাতা, যা গত আড়াই বছরে কে জানে কতবার, কত অজস্রবার পড়েছি…
“ছেলেটাকে যত চিনেছি দিনে দিনে, মনে হয়েছে, যত ভরসা ওকে করেছি এতদিন, সে আমার ইচ্ছে হয়েছে বলে করেছি। যতবার ভেবেছি আমায় বুঝছে, সে'সব আমার কল্পনা করার সখ বই আর কিছুনা! কোনোদিন, আমায় ভরসা দেওয়ার মত কিছু কি করেছে ও?
ও যে কত কেঁদেছে কে জানে আমার চেয়ে বেশি? তবু যখন সেই খুব চেনা হাসিমুখগুলো ভাবি, বিজয়ার প্রণাম আর অবাধ স্বাধীনতার প্রশ্রয় ভাবি, পিঠে-গড়ার জরুরী ফরমায়েশে ওদের রান্নাঘরে আমার রান্নায় হাতেখড়ি ভাবি, একটা কথাই খালি দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে চিত্কার করে ফেরে ঘর জুড়ে… একটাই ইকো… ‘ও সামলাতে পারবে না…’ …”
ও যে কত কেঁদেছে কে জানে আমার চেয়ে বেশি? তবু যখন সেই খুব চেনা হাসিমুখগুলো ভাবি, বিজয়ার প্রণাম আর অবাধ স্বাধীনতার প্রশ্রয় ভাবি, পিঠে-গড়ার জরুরী ফরমায়েশে ওদের রান্নাঘরে আমার রান্নায় হাতেখড়ি ভাবি, একটা কথাই খালি দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে চিত্কার করে ফেরে ঘর জুড়ে… একটাই ইকো… ‘ও সামলাতে পারবে না…’ …”
“আমি তোদের তারপরেও বলতে পারতাম, রিনি”, কান্না চাপতে গিয়ে কথাগুলো ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে এবার হেমের, “… পারিনি… খালি এটা ভেবে... এটা ভেবে... যে হয়তঃ… তুই হয়তঃ… ...”
“চুপ, চুপ, সোনা”, আর পারলাম না ওকে এসব বলতে দিতে, আর সইল না আমার। আমায় জড়িয়ে ধরে সবটুকু চাপাকান্না বাইরে এনে ফেললো হেম। আমারো চোখের জল আগুনের মতন গরম মনে হল। আগুনও হতে পারে... বালির মতন ধূ ধূ থেকে জল নইলে আসবে কি করে?
পারো কতটা কি বুঝলো জানি না, হেম’কে দেখলাম ছুঁয়ে আছে আলতো করে।
পারো কতটা কি বুঝলো জানি না, হেম’কে দেখলাম ছুঁয়ে আছে আলতো করে।
কতক্ষণ এভাবে পেরিয়ে গেল জানিনা। হেম কাঁদতে কাঁদতে চুপ করে গেছে একসময়। আমার মাথার ভেতর’টা বাংলা ক্লাসের খাতার শেষপাতার মত হিজিবিজি’তে ভর্তি মনে হচ্ছিল… কিছু পোর্ট্রেট, খাপছাড়া… তার ওপর লেখা কিছু নাম… কয়েকটা তারিখ… কিছু গানের লিরিক্স… কিছু টুকরো টুকরো করে ছেঁড়া ছবি… তার ওপরে পেন দিয়ে আঁকা কারো মুখের শুধু আদলটুকু… আরো নাম... একই নাম... বারবার...
“তোরা সেদিন কোনো উইশ করিস নি, না?”
আচমকা প্রশ্ন’টাতে কোন কূলকিনারা করে উঠতে পারলাম না… পারো কিছু বলছে। কি বলছে? কি নিয়ে? বোকার মত তাকালাম ওর দিকে… ওর কথাগুলো মাথার ভেতর অব্দি পৌঁছায়নি যেন এখনও…
“সেদিন… ফেয়ারওয়েলের আগের দিন…”, আমাদের দিকে তাকিয়ে যেন ভীষণ অভিমানী মুখ করে পারো বলল।
হেম’কে দেখলাম চুপ করে গেছে; কাঁধে মাথা রেখে শুয়ে আছে শুধু, ও খাপছাড়া ভাবে বলল, “সেদিন…?”
হেম’কে দেখলাম চুপ করে গেছে; কাঁধে মাথা রেখে শুয়ে আছে শুধু, ও খাপছাড়া ভাবে বলল, “সেদিন…?”
পারো রাগ করে মুখ ঘুরিয়ে নিল জঙ্গলের দিকে। বুঝলাম আমাদের এই কান্নাকাটি খুব একটা বোধগম্য হয়নি ওর।
হেমের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখের কোল ফুলে ফুলে উঠেছে ওর; খুব গাঢ় করে চোখের বাইরে দিয়ে কাজল পরে ও, সঅঅব ধেবড়ে গেছে... তবু খুব মিষ্টি দ্যাখাচ্ছে ওকে, বললাম, “ঠিক লাগছে একটু? হুম?”
“হুমম…”, সায় দিল হেম, তারপর খুব ধীরে ধীরে বলল, “রিনি... তুই কখনও ভেবেছিলি যে পারো আর আলোকের রিলেশন’টা বিয়ে অব্দি গড়াবে?”
“হুমম…”, সায় দিল হেম, তারপর খুব ধীরে ধীরে বলল, “রিনি... তুই কখনও ভেবেছিলি যে পারো আর আলোকের রিলেশন’টা বিয়ে অব্দি গড়াবে?”
কে জানে কেন একথা’টা মনে এল ওর! একটু হেসে বললাম, “আমরা কি ভেবেছি তাতে কি আসে যায় ডিয়ার? আমি ভাবিনি, তুই ভাবিস নি, পারো তো ভেবেছে… শী উইশড ফর দ্যাট সো সিনসিয়ারলি… আর সবচে’ বড় কথা কি বল ত? শী হ্যাড দ্য ট্রাস্ট…”
বলতেই কেমন যেন লাগল হঠাত… যেন কথাটা ঘুরে এসে আমারই সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে বলছে, ‘দ্যাখো তো, চিনতে পারো...?’
নির্জলা এই সত্যি’টা ভাবিনি যেন এভাবে আগে… আর কিছু তো ছিল না ত্রিসীমানায়… যা যা লাগে বলে ভেবেছিলাম আমরা... কিচ্ছু তো ছিল না...
নির্জলা এই সত্যি’টা ভাবিনি যেন এভাবে আগে… আর কিছু তো ছিল না ত্রিসীমানায়… যা যা লাগে বলে ভেবেছিলাম আমরা... কিচ্ছু তো ছিল না...
পারো খালি বিশ্বাসটুকু রেখেছিল সামলিয়ে… খালি বিশ্বাসটুকু... আমরা পেরেছি কই?
দেখলাম হেম’ও হাসছে আমার দিকে তাকিয়ে, একই কথা ভাবছে নিশ্চয়ই…
ডানহাত’টা দিয়ে ওর চোখদুটো ঢাকা দিয়ে দিলাম, আর বাঁ হাতের তালুর নিচে রেখে বন্ধ করলাম নিজের চোখদুটো…
তারপর আস্তে আস্তে বললাম, “লেটস ট্রাই এগেন… মেক আ উইশ… …”
তারপর আস্তে আস্তে বললাম, “লেটস ট্রাই এগেন… মেক আ উইশ… …”
[শেষ]
লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ চুপ করেছিলাম... কোন কথাটা যে সব থেকে মন ছুঁয়ে গেল বলা মুস্কিল। হয়তো সব কথাগুলোই...
ReplyDelete"বড় হওয়া মানে নিজেকেই চেনা বেশী করে...
আর নিজেকে শুধরে নেওয়া পদে পদে শুধু... খুব প্রিয় ভুল’দের মুছে দেওয়া ইরেজার ঘষে..."
"ছেলেটাকে যত চিনেছি দিনে দিনে, মনে হয়েছে, যত ভরসা ওকে করেছি এতদিন, সে আমার ইচ্ছে হয়েছে বলে করেছি। যতবার ভেবেছি আমায় বুঝছে, সে'সব আমার কল্পনা করার সখ বই আর কিছুনা! কোনোদিন, আমায় ভরসা দেওয়ার মত কিছু কি করেছে ও?"
অসম্ভব সুন্দর লেখা... তার থেকেও সুন্দর শেষটুকু... হ্যাটস্ অফ!
Borgata Hotel Casino & Spa - Dr.MCD
ReplyDeleteBORGATA HOTEL 계룡 출장안마 CASINO & SPA. 2021 · 경기도 출장안마 Reservation Details 전라북도 출장마사지 · Casino Facilities · About Us · About Us. Borgata 수원 출장마사지 Hotel Casino & Spa 안성 출장샵